খুলনা, বাংলাদেশ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় ফের বাড়লো
  তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
  গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪
খুবিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহিদ মীর মুগ্ধ স্মরণসভা’

জুলাই শহিদদের মর্যাদা রক্ষা ও দ্রুততম সময়ে খুনিদের বিচারের দাবি

গেজেট ডেস্ক

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুক্রবার (১৮ জুলাই) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ-এর প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহিদ মীর মুগ্ধ স্মরণসভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী। সভাপতিত্ব করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণিত ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. আজমল হুদা।

সভায় বক্তারা বলেন, সুস্পষ্ট পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে এক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই অভ্যুত্থানে অসংখ্য ছাত্র-জনতা শহিদ হন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব।

বক্তারা বলেন, যারা এই অভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছেন, তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে তাদের দোসরদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে জুলাইবিরোধী অপশক্তি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, গত বছর এই দিনে আমরা মীর মুগ্ধকে হারিয়েছি। জুলাই আন্দোলনে তাঁর আত্মত্যাগ দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মীর মুগ্ধ আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এখন থেকে ১৮ জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শহিদ মীর মুগ্ধ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে, যা ইতোমধ্যে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়েছে।

স্মরণসভায় শিক্ষকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন আইন স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ইয়াছিন আলী, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার।

স্মৃতিচারণ করেন শহিদ মীর মুগ্ধ’র বন্ধু মো. জাকিরুল ইসলাম, জুলাই আন্দোলনে দৃষ্টিশক্তি হারানো নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ শাফিল। অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদিন সম্পদ, আল শাহরিয়ার, আয়মান আহাদ, সৈয়দ মো. রুম্মান, শামীম। আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোহাম্মদ আলী।

এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটায় গণিত ডিসিপ্লিনে ‘শহিদ মীর মুগ্ধ স্মৃতি কর্নার’ এবং ‘শহিদ মীর মুগ্ধ পানি কর্নার’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

এছাড়া বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহিদ মীর মুগ্ধসহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে শহিদ মীর মুগ্ধসহ সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!